জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর সেখানে ধীরে ধীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে শুরু করেছে। কিছুটা হলেও সেখানকার মানুষদের মধ্যে শান্তি বিরাজ করেছে। কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে এবার সেখানে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য এবং হিন্দু কাশ্মীরি ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অবতীর্ণ হয়েছে ভারত সরকার। ১৬০ বছর পূর্বে শ্রীনগরের ঝিলাম নদীর তীরে এই ভগবান রঘুনাথের মন্দির স্থাপন করেছিলেন ডোগরা শাসক মহারাজা রণভীর সিং। এই মন্দিরের অভ্যন্তরে অনেক মূল্যবান পান্ডুলিপি এবং ধর্মীয় গ্রন্থ মজুত ছিল।
শোনা গিয়েছে, ওই মন্দিরের সঙ্গে একটি বিদ্যালয়ও ছিল। তবে বর্তমানে তা মন্দির থেকে পাঁচিলের মাধ্যমে পৃথক রয়েছে। বিগত ৩১ বছর পূর্বে ভগবান রঘুনাথের মূর্তিটি ইসলাম সম্প্রদায়ের লোক ভেঙে ঝিলম নদীতে ফেলে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। ১৯৮৯ সালে কিছু বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের অপছন্দের কারণে তারা এই মন্দিরে আক্রমণ করেছিল। এখানেই শেষ নয়, পরবর্তীতে ১৯৯০ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৯১ সালের ১৩ শে এপ্রিল এবং ১৯৯২ সালের ৮ ই মার্চ এই মন্দিরের উপর আবারও হামলা হয়েছিল। মন্দির থেকে রাম সীতার মূর্তি তুলে নিয়ে, সেগুল ভেঙ্গে ঝিলাম নদীতে ফেলে দেওয়াও হয়েছিল। সেইসঙ্গে মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এবার এই মন্দির সংস্কার এবং ঝিলাম নদীর ঘাটের সৌন্দর্য রূপায়ণের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতরের হাতে। এই মন্দিরের অভ্যন্তরে অনেক মূল্যবান পান্ডুলিপি এবং ধর্মীয় গ্রন্থ মজুত ছিল। শোনা গিয়েছে, ওই মন্দিরের সঙ্গে একটি বিদ্যালয়ও ছিল। তবে বর্তমানে তা মন্দির থেকে পাঁচিলের মাধ্যমে পৃথক রয়েছে। ৩০ বছর পর সম্প্রতিকালে এই মন্দিরের সংস্কারের বিষয়ে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া গোটা কাশ্মীর জুড়েই। শুধুমাত্র সেখানকার বসবাসকারী কাশ্মীরি পণ্ডিতরাই নন, আনন্দিত সেখানকার বিতাড়িত হিন্দুরাও।
No comments:
Post a comment