তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসানোর পরিকল্পনা প্রস্তুত করে ফেলেছে বঙ্গ বিজেপি। ২০২০-র ডিসেম্বরের মধ্যেই টার্গেট পূরণও করে ফেলতে চাইছে তারা। এবার ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে ২০ লক্ষ মুসলিম সদস্যকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চাইছে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা।সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলি হোসেন আরও জানান, ইতিমধ্যে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ লক্ষ সংখ্যালঘুকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আগামী চার মাসে এই লক্ষ্য অর্জন করা যাবে। মুসলিমরা রাজ্যের মোট ভোটারের ২৮-৩০ শতাংশ এবং রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১২০টিরও বেশি আসনে মুসলিমরা নির্ধারক শক্তি। মোর্চা সূত্রে জানা গেছে, বিজেপি টার্গেট করেছে রাজ্যের ১২০ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় ১০ লক্ষ মুসলমান এবং বাকি ১৭৪টি বিধানসভা থেকে ১০ লক্ষ মুসলমানকে। সদস্যপদ প্রচারের সময় উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদহ ও মুর্শিদাবাদের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলিতে মনোনিবেশ করতে চাইছে বিজেপি।
রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংখ্যালঘুদের তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা বিজেপির বহুদিন ধরেই ছিল।কিন্তু সিএএ-বিরোধী আন্দোলন এবং প্রস্তাবিত এনআরসি নিয়ে প্রচারে সেই প্রচেষ্টা ধাক্কা খেয়েছিল। আলি হোসেন বলেন, 'সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক বুদ্ধিজীবী এবং শিক্ষিত যুবক এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন যে বিজেপি 'সকলের উন্নয়নে' বিশ্বাস করে। বিরোধী দলগুলি নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বা সিএএ নিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে। এখন লোকেরা বুঝতে পেরেছে যে এর সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনও যোগসূত্র নেই।
No comments:
Post a comment