ভূমিপুজোয় অংশ নেওয়া ও রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ মঞ্চে উঠে প্রথমেই তিনি বলেন, 'আজ পুরো বিশ্বজুড়ে রাম-সীতা নাম ধ্বনিত হচ্ছে৷ সারা বিশ্বের রামভক্তদের আজকের এই শুভদিনে শুভেচ্ছা জানাই৷ এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে শ্রী রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই৷
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সরযূ নদীর তীরে আজ স্বর্ণযুগের সূচনা হল৷ আজ এক ইতিহাসের সাক্ষী হলাম৷ রাম আমাদের মনে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে৷ যে রামলালা একদিন তাঁবুতে থাকতেন, তাঁর জন্য বিশাল মন্দির তৈরি করা হবে৷ এই রামমন্দির আমাদের সংস্কৃতির প্রতীক হবে৷ আজ রামমন্দির নির্মাণের পুণ্যকাজ শুরু হল৷ এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মন্দিরের জন্য অনেকে জীবন বলিদান দিয়েছেন৷ আজকের এই দিন ত্যাগ ও তপস্যার প্রতীক৷ ৫ অগাস্ট ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যতটা ১৫ অগাস্ট। এটি দেশকে এক সূত্রে গাঁথতে সাহায্য করবে। সারা দেশের জন্য আজ এক আবেগের মুহূর্ত৷ তাদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান হল৷
A blessed day in Ayodhya.
— Narendra Modi (@narendramodi) August 5, 2020
This day will remain etched in the memory of every Indian.
May the blessings of Bhagwan Shree Ram always be upon us. May India scale new heights of progress. May every Indian be healthy and prosperous. @ShriRamTeerth pic.twitter.com/4JbHYcTv0b
রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে সম্মান জানিয়ে মোদী বলেন, 'রাম মন্দিরের জন্য কয়েক প্রজন্ম অখণ্ড প্রচেষ্টা এবং এক নিষ্ঠ ভাবে চেষ্টা করেছে। আজকের দিন সেই সংকল্প ও ত্যাগের প্রতীক। অর্পণ আর তর্পণের প্রতীক। যাঁদের ত্যাগ, বলিদান ও সংঘর্ষের জন্য এই স্বপ্নপূরণ হচ্ছে আমি তাঁদের সবাইকে ১৩০ কোটি দেশবাসীর তরফে মাথানত করে প্রণাম জানাচ্ছি।
राम समय, स्थान और परिस्थितियों के हिसाब से बोलते हैं, सोचते हैं, करते हैं। राम हमें समय के साथ बढ़ना सिखाते हैं, चलना सिखाते हैं।
— Narendra Modi (@narendramodi) August 5, 2020
राम परिवर्तन के पक्षधर हैं, राम आधुनिकता के पक्षधर हैं। उनकी इन्हीं प्रेरणाओं और आदर्शों के साथ भारत आज आगे बढ़ रहा है। pic.twitter.com/uleGkVUhXr
প্রসঙ্গত দীর্ঘ ২৮ বছর পর রামজন্মভূমিতে পা রাখতেই তিনটি নয়া রেকর্ড গড়লেন মোদী রাম মন্দির আন্দোলনের সময়ে শেষবার অযোধ্যায় গিয়েছিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। ১৯৯২ সালে শেষ অযোধ্যা সফরকালে ফৈজাবাদের (অযোধ্যা) জিআইসি গ্রাউন্ডে রাম মন্দির আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা মুরলি মনোহর জোশীর সাথে একই সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরে তিনি রামলালার দর্শনও করেছিলেন। তৎকালীন বিজেপি রাষ্ট্রপতি ডঃ মুরলি মনোহর যোশীর নেতৃত্বে 'তিরঙ্গা যাত্রা'র আহ্বায়কও ছিলেন মোদি। ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর থেকে শুরু করে, ১৮ ই জানুয়ারী, ১৯৯২ এ অযোধ্যা পৌঁছেছিলেন তিনি। এই যাত্রা থেকেই কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খর্ব করতে ৩৭০ ধারা বাতিলের ডাক দেওয়া হয়। গত বছরই দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এই ৩৭০ ধারা বাতিল করে মোদী সরকার। এি ৫ই অগাস্টেই তার বর্ষপূর্তি।
No comments:
Post a comment