পাকিস্তানের সিন্ধু প্রান্তে পুলিশ সোমবার এক নির্মাণস্থলকে সিল করে দেয়। এরপর ল্যারির সহকারি পুলিশ কমিশনার আবদুল করীম পুলিশের সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছান আর মন্দিরের নিরীক্ষণের পর নির্মাণাধীন স্থলের তিনটি দরজা সিল করে দেন। সেখানে মন্দির ভেঙে একটি আবাসিয় ভবন বানানো হচ্ছিল। নির্মাণাধীন এলাকা সিল করার পর উনি বলেন, আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আর তদন্তের কারণে নির্মাণাধীন স্থলকে সিল করা হয়েছে।
Builders in Karachi took advantage of the pandemic lockdowns to raze a pre-partition Hindu temple, even after promising local Pakistani Hindu families that it would be left untouched.https://t.co/MtfDFnOlQs— Diaa Hadid ضياء حديد (@diaahadid) August 18, 2020
স্থানীয় বাসিন্দা মোহম্মদ ইরশাদ বালুচ বলেন, অন্যায় ভাবে বহু প্রাচীন মন্দিরকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এই মন্দিরটি ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি। এলাকার আরেক বাসিন্দা হীরা লাল বলেন, মন্দিরের আশেপাশে প্রায় ১৮ টি পরিবার বাস করে। উনি বলেন, আমাদের বিল্ডার দ্বারা আশ্বাস দেওয়া হয় যে, মন্দিরকে ভাঙা হবে না। কিন্তু বিল্ডার প্রতিশ্রুতি পালন না করে মন্দির ভেঙে ফেলে। মন্দির ভেঙে ফেলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার হিন্দুর সেখানে পৌঁছান। আধিকারিকদের সাথে কথা বলার সময় তাঁদের হতাশা এবং ক্ষোভ স্পষ্ট বোঝা যায়।
এক হিন্দু কার্যকর্তা মোহন লাল বিল্ডারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের হুমকি দেওয়া এবং ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছেন। উনি বলেন, ‘আমরা মন্দিরের প্রবেশ করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু বিল্ডার আমাদের কোনমতেই মন্দিরে প্রবেশ করতে দেয় নি। পাকিস্তানি মিডিয়া অনুযায়ী, আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, লকডাউনে কারোর মন্দিরে ঢোকার অনুমতি ছিল না। বিল্ডার মহামারীর সুযোগে মন্দিরটি ভেঙে ফেলেছে। উনি জানান, বিল্ডাররা আমাদের আশ্বস্ত করেছিল যে মন্দির ভাঙা হবে না। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।
No comments:
Post a comment