বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে ট্রেন চালানো প্রসঙ্গে আলোচনা করার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি কিন্ত কোনও দিনই করোনা এক্সপ্রেস বলিনি। বলেছি সাধারণ মানুষ বলছে। ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।” এরপরই পরিযায়ীদের দুর্দশা প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “লকডাউনের আগেই যদি শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হত, তাহলে এভাবে তাঁদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ফিরতে হত না। এত সমস্যাও ভোগ করতে হত না।
.
মুখ্যমন্ত্রীর করোনা এক্সপ্রেস বিতর্কে এবার মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, করোনা এক্সপ্রেস বলার পর নিজের কথা থেকে পিছিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তাভাবনা করে কথা বলা উচিত। অনুরোধ করব, ভেবে কথা বলার জন্য যাতে পিছিয়ে আসতে না হয়। প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় অর্থ খরচ হচ্ছে না। লুঠ হচ্ছে বলেও এদিন ফের অভিযোগ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
.
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনার টাকায় বাড়ি হচ্ছে না। রাস্তা পাকা হচ্ছে না। রাজনৈতিক কারণে মানুষের কষ্ট বাড়ানো হচ্ছে। যেখানে কাটমানি নেই, সেখানে কাজ আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। অমিত শাহর কাছে তথ্য আছে। তিনি সঠিক কথা বলে গিয়েছেন। তৃণমূল যতই তাদের নেতাদের নামাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথাই বিশ্বাস করবে মানুষ’, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। তিনি আরো বলেন রাজ্যে আবার হিংসার ঘটনা শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা-কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে, অভিযোগ মেদিনীপুরের সাংসদের।
No comments:
Post a comment