লাদাখ সীমান্ত নিয়ে সকালে একটি টুইট করে রাহুল দাবি করেন যে লাদাখের গালওয়ান এলাকা চিনের দখলে রয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি নিউজ পোর্টালের আর্টিকেলও ইনক্লুড করেন নিজের বক্তব্যের সঙ্গে। সেখানে দাবি করা হয়েছে যে গালওয়ান এলাকা চিনের দখলে। এবং শনিবার হওয়া শান্তি আলোচনায় নাকি চিন সেটাকে অনুপ্রবেশ বলে মানতেই রাজি হয়নি। এদিন রাহুল গান্ধী নিজের টুইটবার্তায় লেখেন, 'চিন আমাদের গালওয়ান উপত্যকা দখল করে বসে আছে। তবে প্রধানমন্ত্রী এখনও চুপ রয়েছেন। তিনি এই বিষয়ে কিছুই বলছেন না।
.
এরপরই রাহুলকে পাল্টা দিতে ময়দানে নামেন লাদাখের বিজেপি সাংসদ জামইয়াং শেরিং নামগয়াল। এদিন রাহুল গান্ধীকে একটি টুইটে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, 'হ্যাঁ চিন ভারতের ভূখণ্ড দখল করেছে। তবে সেটা ছিল ১৯৬২ সালে। আকসাই চিনের ৩৭,২৪৪ বর্গ কিলোমিটার দখল করে চিন। তিনি আরও লেখেন, 'এরপর ইউপিএ জমানায় ২০০৮ সালে ছবি ও প্যাংনাক উপত্যকায় ২৫০ কিলোমিার ঢুকে যায় চিন। ২০১২ সালে কংগ্রেস জমানায় জোরাওয়ার ফোর্ট ধ্বংস করে সেখানে অবজার্ভিং পয়েন্ট বানায় চিন। ২০০৮ সালে ভারত ডুম চেলির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে ভারত।
.
প্রসঙ্গত সোমবারই ভারত, চিন উভয় পক্ষই লাদাখ সীমান্তের গালওয়ান থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে বলে খবর আসে। উল্লেখ্য এই আবহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এদিন দুই দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্তরের বৈঠক। প্রথমে আটটায় সেই বৈঠক শুরু হওযার কথা থাকলেও পরে গিয়ে তা শুরু হয় দুপুর দুটোয়। তার পরপরই গালওয়ান এলাকা থেকে পিছু হটল চিনের পিপল লিবারেশন আর্মির সেনা দল। ভারতও তাদের সেনাকে সরিয়ে নিয়েছে। গালওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৫, হট স্প্রিং এলাকা সহ আরও অনেক গুলি জায়গা থেকে যা ছিল চীনের ভয়ের কারণ।
No comments:
Post a comment