আমফান দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিধ্বস্ত বাংলার জন্য ১০০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আরজি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ, তিনি জানিয়েছেন দুর্যোগ পীড়িত মানুষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যেন সরাসরি টাকা দেওয়া হয়। নাহলে সেই টাকা তৃণমূল মেরে খেয়ে নিবে। বঙ্গ বিজেপি সভাপতির এই মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের মুসলিম মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বললেন, ‘যখন দু’জন বড় কথা বলে তখন ছোটদের চুপ করে থাকতে হয়। এই সৌজন্যটা বোধহয় ওনারা ভুলে গিয়েছেন।’
.
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় দুর্গত মানুষদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক সাহায্য যা করবে তা যেন সরাসরি পীড়িতদের ব্যাংক আকাউন্টে দেওয়া হয়। বঙ্গ বিজেপির তরফে দেওয়া চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এমনই নিবেদন জানিয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে আমরা ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী রাজ্যের পরিস্থিতিতে, কতটা ক্ষতি হয়েছে তার একটা অনুমান চিঠিতে দিয়েছি।’ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি আরও বলেছেন, ‘এখানকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা চান কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করুক। তবে এর আগে আয়লা, বুলবুল কিংবা উত্তরবঙ্গে বন্যার ক্ষেত্রে যেটা দেখা গিয়েছে, পীড়িত মানুষরা ঠিকমতো সহায়তা পায়নি। তাই আমরা বলেছি, সবকিছু পরিদর্শনের পর পাওনাগণ্ডা যেন সরাসরি পীড়িতদের আকাউন্টে দেওয়া হয়।’
.
এদিন কলকাতা পুরসভার মুসলিম প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম দিলীপ ঘোষকে পালটা কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘বড়রা যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, কথা বলে। তার মধ্যে ছোটদের কথা বলতে নেই। মাথা গলাতে নেই। এটা আমরা ছোটবেলা থেকে শিখেছি। প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর মতো দুজন দক্ষ প্রশাসক যখন নিজেদের মধ্যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন তখন কি তার মধ্যে ঢুকে পড়াটা ঠিক? তারা হয়তো সৌজন্য জানেনা।
No comments:
Post a comment