১৯৯২ সালের পর ফের আরও একবার নিউক্লিয়ার টেস্ট করতে চাইছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আমেরিকার প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানরা মিলিতভাবে পরবর্তী সময়ে নিউক্লিয়ার টেস্ট করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। চীন নিউক্লিয়া টেস্ট করছে, অভিযোগ আমেরিকার ডিপার্মেন্ট অফ স্টেট-এর খবর অনুসারে, চীনে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি নিউক্লিয়ার টেস্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আমেরিকা। কিন্তু তাঁদের কাছে এর সঠিক কোন প্রমাণ এতদিন ছিল না।
.
১৯৯৬ সালে বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে পড়ে, রাশিয়ার ফেডারেশনের জন্ম হয়। এই সময় আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ স্থির করেছিল, দ্বিতীয় বার আর কোন রকম নিউক্লিয়ার টেস্ট করা হবে না। তবে যদি কোন দেশ পরবর্তীতে নিউক্লিয়ার টেস্ট করে, তাহলে তাঁদের উপর CTBT নিয়ম মোতাবেক নিষেধাজ্ঞা জারী করা হবে। কিন্তু ভারত, পাকিস্তান এবং নর্থ কোরিয়াও এই নিয়মের বিরুদ্ধাচারণ করে।
.
এই নিয়মের ঠিক দুই বছরের মধ্যেই প্রথমে ভারত এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান আন্ডারগ্রাউন্ড নিউক্লিয়ার টেস্ট করে। এই ঘটনার জেরে ভারত এবং পাকিস্তানের উপর ইউরোপ, আমেরিকা থেকে নতুন করে অনেক নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে ২০০৬ সালে ফের নর্থ কোরিয়া নিউক্লিয়ার টেস্ট করে। তারপর ধীরে ২০০৯, ২০১৩, ২০১৬, ২০১৭ এও নিউক্লিয়ার টেস্ট করে।
.
আমকেরিকার গোয়েন্দা দফতর সূত্রের খবর, রাশিয়া এবং চীন গোপনীয়তার সাথে নিউক্লিয়ার টেস্ট করেই চলেছে। সেই কারণে করোনা ভাইরাস সংকটের মধ্যেই আমেরিকার উচিত নিউক্লিয়ার টেস্ট করার। সুপার পাওয়ার আমেরিকা তাঁর শক্তি প্রদর্শন করার কারণে এই নিউক্লিয়ার টেস্ট করছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমেরিকা যদি একবার CTBT-এর নিয়ম পরিবর্তন করে নিউক্লিয়ার টেস্ট করে, তাহলে ভারতের কাছেও এই পথ উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
No comments:
Post a comment