সাইক্লোন আম্ফানের পরিস্থিতি সামাল দিতে চরম হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার। দিনরাত এক করে প্রশাসন কাজ করে চলেছে কিন্তু ক্ষতির পরিমাণ এতটাই বেশি যে তা সামাল দিয়ে ওঠা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। উল্টে ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ, পানীয় জল এবং যোগাযোগ পরিষেবা স্বাভাবিক করে উঠতে পারেনি রাজ্য সরকার। এমনই এক অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে সেনা নামানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
.
যদিও রাজ্য সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ঘূর্ণিঝড় আরফান থেকে বাঁচার জন্য আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে কিন্তু বর্তমানে আম্ফান যে ধরনের তাণ্ডব চালিয়েছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বেশিরভাগ জেলায় এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি।সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে পানীয় জল এবং খাবারের কেননা সড়কপথে প্রচুর গাছ পড়ে রয়েছে। ফলে বিদ্যুতের খুঁটি সারানো যাচ্ছেনা বিভিন্ন দুর্গত স্থানে খাবার নিয়েও যাওয়া যাচ্ছে না। মোটকথা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের কর্তারা। এই অবস্থায় এদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে টুইট করে সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়।
.
এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তথা সেনাবাহিনী কী উত্তর দেয় সেদিকেই নজর রেখেছে সংশ্লিষ্ট মহল। পরবর্তী পরিস্থিতিতে ক্রমশই সাধারণের বিক্ষোভ বড় আকার ধারণ করছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগ কাটানোর জন্য সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্য চাওয়া ছাড়া রাজ্যের কাছে আর কোনও বিকল্প পথ নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
No comments:
Post a comment