অ্যাম্ফানের চারদিন কেটে যাওয়ার পরেও কলকাতার বিভিন্ন জায়গাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়নি। অসংখ্য জায়গায় রাস্তার উপরে লন্ডভন্ড হয়ে গাছ পড়ে রয়েছে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্ধার কাজে বিলম্ব হওয়ার একাধিক কারণ দেখিয়েছেন। মমতা বলেন, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসার ফলে দুইবেলা প্রশাসন কোনো কাজ করতে পারেনি। মোদি আসায় তাকে কেন্দ্র করে আমলা, পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা, সারাদিন ব্যস্ত ছিলেন।
.
ফলে শুক্রবার প্রায় কোনো উদ্ধার কাজ করা সম্ভব হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় কপ্টারে করে পরিদর্শন করার সময় আমি তার সঙ্গে ছিলাম। ফলে রাজ্য প্রশাসনের প্রায় অনেকেই মোদি আসার জন্য ব্যস্ত ছিলেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার আম্ফানের ফলে বিপর্যয় হওয়ার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে আহবান জানিয়েছিলেন, একবার অন্তত রাজ্যে এসে যেন এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে যান। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদি পরেরদিন কপ্টারে করে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন।
.
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসার ফলে যে উদ্ধার কাজে বিলম্ব হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, সেটা ঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী কয়েক ঘন্টা কপ্টারে করে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা তার সমস্ত কিছু সামলেছেন। রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের তো ব্যস্ত থাকার কথা নয়। ঘূর্ণিঝড় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন প্রস্তুতি বৈঠক করেন নি। সঠিক পর্যায়ের কোনো প্রস্তুতি না থাকার কারণে ঘূর্ণিঝড় হয়ে যাওয়ার পরেও এতদিন ধরে সমস্ত কিছু লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করা যায়নি। তাই এখন উনি নানারকম অজুহাতের কথা বলছেন।
No comments:
Post a comment