সূত্রের খবর, দুপুর ১২ টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফা দিতে পারেন কমলনাথ সরকার!
মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের পতন কি আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা? আস্থাভোট হবে নাকি তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন কমলনাথ? দেশের রাজনৈতিক মহলের অন্দরে এখন এই প্রশ্নটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। ইতিমধ্যে ২২ জন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের পদত্যাগপত্র জমা নিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের স্পিকার।
.
এদিকে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা দিগ্বিজয় সিং জানিয়ে দিয়েছেন, কমলনাথের কাছে সরকার টেকানোর মতো বিধায়ক সংখ্যা নেই। এরপরই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। সূত্রের খবর, দুপুর ১২ টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে ইস্তফা দেবেন কমলনাথ। ফলে সে রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দখল আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
.
কংগ্রেসের তরুণ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া-সহ ২২ বিধায়ক বিদ্রোহী পদত্যাগ করেন। এরপরই সংকটে পড়ে কমলনাথের সরকার। প্রাথমিকভাবে ৬ জনের পরত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের স্পিকার। বৃহস্পতিবার রাতে বাকি ১৬ জনের পদত্যাগপত্রও গৃহীত হয়। ফলে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় ২০৬টি আসন রয়েছে। ২২ জন বিধায়ক পদত্যাগের পর কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ায় ৯২। এদিকে সরকার গড়তে প্রয়োজন ১০৪ জন বিধায়ক। বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ১০৭ জন। ফলে কমলনাথ পদত্যাগ করলে বিজেপি রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের আরজি জানাবেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত।
.
প্রসঙ্গত. শুক্রবার দুপুরে আস্থাভোট করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও করোনা সংক্রমণের দোহাই দিয়ে আস্থাভোট পিছিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কমলননাথ। তবে তাঁর সেই আরজি ধোপে টেকেনি। এদিকে আস্থাভোটে উপস্থিত থাকতে দুই দলই হুইপ জারি করেছে।
No comments:
Post a comment