লকডাউন আরও বেশি মৃত্যু ডেকে আনবে, মোদীকে চিঠি রাহুলের!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে রাহুল গান্ধী জানিয়েছেন দরিদ্র মানুষের কথা ভেবে সম্পূর্ণ লকডাউন না করে বিকল্প কোনও পথের কথা ভাবা উচিত। ”আমাদের বোঝা দরকার ভারতের অবস্থাটা সম্পূর্ণ আলাদা।” তাই ভাইরাস সংক্রমণকে প্রতিহত করতে ”অন্যান্য দেশের সম্পূর্ণ লকডাউন পদ্ধতির থেকে আমাদের পদ্ধতিও আলাদা হওয়া প্রয়োজন।” ভারতে বিশাল সংখ্যক মানুষ দৈনিক মজুরি বা আয়ের ওপর নির্ভরশীল। সম্পূর্ণ লকডাউনের ফলে সেই বিপুল সংখ্যক মানুষ আর্থিক ভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন রাহুল।
.
সম্পূর্ণ লকডাউনের ফলে আর্থিক বিপর্যয়ে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে রাহুল গান্ধী জানান, আচমকা লকডাউন মানুষের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক ও সংশয় তৈরি করেছে। কারখানা, ছোট শিল্প ও নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার ভিনরাজ্যের শ্রমিক নিজের রাজ্যে ফেরার জন্য দুঃসাধ্য চেষ্টা করছে। দৈনিক আয় হারিয়ে, অপুষ্টি ও সম্পূর্ণ প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পড়ে দিনমজুরদের জীবনে প্রচণ্ড সংকট তৈরি হয়েছে।
.
এই অবস্থায় এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল, এই মানুষগুলির জন্য আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা। আগামী কয়েক মাস সরাসরি তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়ে আর্থিক সাহায্য করা প্রয়োজন বলে মনে করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। ভিন রাজ্যের বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ হারিয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরলে তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়বে, তাদের বাড়ি ও গ্রামের প্রবীণরা খুব বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে এবং ”এর ফলে বিপুল প্রাণহানি ঘটবে”। এই জটিল বাস্তব পরিস্থিতিতে আমাদের দেশের মানুষদের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
.
প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, প্রবীণদের আলাদা করে দিয়ে রক্ষা করা কাজটিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত, একই সঙ্গে অল্প বয়সিদের প্রবীণদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা বোঝানো দরকার কারণ বয়স্করাই এই ভাইরাসের অন্যতম শিকার। পরে রাহুল গান্ধী টুইট করে জানান, ”কিছুক্ষণ আগে আমি প্রধানমন্ত্রীকে করোনাভাইরাস সংকট নিয়ে একটি চিঠি লিখেছি। এই অভূতপুর্ব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে ওনার প্রতি আমার সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছি। লকডাউন নিয়ে আমার কিছু ভাবনা ওনাকে জানিয়েছি। এই টুইটের সঙ্গে চিঠিটি দেওয়া হল।’
No comments:
Post a comment