বড় খবর: ইস্তফা ২০ কংগ্রেস বিধায়কের, কমলনাথের সরকার পড়া এখন সময়ের অপেক্ষা
নিজস্ব প্রতিবেদন: জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইস্তফা দেওয়ার পর পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল মধ্য প্রদেশ কংগ্রেস। আশঙ্কা ছিল ১৭ কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিতে পারে। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই এক সঙ্গে ২০ বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে দিলেন। অর্থাত্ এই মুহূর্তে ২৭টি আসনে শূন্য রইল। যে কোন সময় এই আসনগুলির উপনির্বাচন হতে পারে।
.19 Congress MLAs, who are staying in Bengaluru, write a letter to Karnataka DGP, demanding protection&police escort. Letter reads, "We've come to Karnataka voluntarily for some important work, regarding which we require protection for our safe movement&stay in& around Bangaluru". https://t.co/pHiIM3uJtm— ANI (@ANI) March 10, 2020
যদি ২০ বিধায়কের ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়, তাহলে সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে কমল নাথের সরকার। অর্থাত্ সরকার পড়ে যাওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। এ দিন ইস্তফা গ্রহণের আগেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে সরাসরি বহিষ্কার করে কংগ্রেস। দুপুর ১২টা নাগাদ, কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধীর কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মিনিট খানেকের মধ্যেই কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন, দল-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
.
এ দিন সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত্ করার পরই ইস্তফা দেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ইস্তফাপত্রে তিনি লেখেন, গত ১৮ বছর ধরে কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন। কিন্তু সময় এসেছে কংগ্রেস ছাড়ার। গত এক বছর ধরে দলের মধ্যে যে টালমাটাল অবস্থা চলছে, তা উল্লেখ করে জ্যোতিরাদিত্য বলেন, দলে থেকে রাজ্য এবং দেশের মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব নয়। নতুন ভাবে শুরু করার কথা বলেন তিনি। আজ বেলা ১১ টা নাগাদ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে পৌঁছন। সেখান উপস্থিত থাকেন অমিত শাহ। এর পরই কার্যত জল্পনার অবসান হয়ে যায়। স্পষ্ট হয়ে যায়, বিজেপিতেই যোগ দিচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য। সূত্রের খবর আরও ১৯ বিধায়ক তাঁদের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন রাজভবনে।
No comments:
Post a comment