রাজস্থানে রয়েছে ‘ওম’আকৃতির মন্দির, যেখানে উপাসনার পাশাপাশি বৈদিক সংস্কৃতিক চর্চাও করা হয়।
.
১৯৯০ সালে মহামন্ডলেশ্বর পরমহংস স্বামী মহেশরানন্দপুরী এই মন্দিরটি ভক্তকূলের উপাসনার জন্য নির্মান করেন। যার নাম রাখেন ‘ওম বিশ্বদীপ গুরুকুল স্বামী মহেশ্বরানন্দ আশ্রম এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার’। পরবর্তীতে যা ‘ওম আশ্রম’ নামে পরিচিতি লাভ করে।এই মন্দিরে শুধুমাত্র ভগবানের উদ্দ্যেশ্যে পূজা-অর্চনা করা না। এই মন্দিরটি ভারতীয় বিজ্ঞান এবং যোগ শিক্ষার একটা কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।
.
এছাড়া এখানে বৈদিক সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ও চর্চিত হয়। নিজের জীবন, পরিবেশ এবং পৃথিবীর শান্তিকে রক্ষা করার জন্য এই কেন্দ্রটি উৎসর্গ করা হয়েছে। সংস্কৃত শব্দ ‘ওম’ যা এ, ইউ, এম এই তিনটি শব্দকে একত্রে ধরে রাখে। যার অর্থ হল ঐশ্বরিক কম্পমানতা। এটি একটি অসাধারণ মন্ত্র রূপে উচ্চারিত হয়।
.
এই মন্দিরটি প্রায় ২৫০ একর জমির উপরে তৈরি করা হয়েছে। মন্দিরের ভেতরে প্রায় ১০৮ টি কম্পার্টমেন্ট রয়েছে এবং প্রতিটি কম্পার্টমেন্টে ‘ওম’ আকৃতিতে তৈরি। জপমালায় যে ১০৮ টি বীজ থাকে, তাঁর অনুকরনে এটি তৈরি করা হয়েছে। এই মন্দিরে প্রায় ১২টি মন্দির রয়েছে , যা ১০৮ ফুট উঁচু। এবং ৯০ ফুটএর একটি বিশাল বড় জলের ট্যাংক রয়েছে, যার উপরে তৈরি করা হয়েছে সূর্য মন্দির।
No comments:
Post a comment